রোগ ব্যাধি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রোগ ব্যাধি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৪

যৌন মিলন ও হস্তমৈথুনেও ছড়াতে পারে মারণ ভাইরাস ইবোলার সংক্রমণ

কয়েকদিন আগে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল ভারতে ইবোলা নিয়ে এক রিপোর্ট। লাইবেরিয়া থেকে আসা এক ভারতীয়কে দিল্লির বিমানবন্দরে আটক করা হয়। তিনি ইবোলা আক্রান্ত ছিলেন। লাইবেরিয়া সরকার তাঁকে সুস্থ বলে ঘোষণা করলেও দেখা গেছে, তাঁর শুক্রাণুতে ইবোলার নমুনা পাওয়া যায়।
বিস্তারিত

বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৪

যৌন মিলনে রতিসুখে বাধ সাধতে পারে বিরল অ্যালার্জি !

কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, শরীর, মন সাড়া দিলেও যৌন মিলনে প্রবল অনীহা সৃষ্টি হয়েছে। অস্বস্তিকর এই পরিস্থিতির পিছনে থাকতে পারে অ্যালার্জির আতঙ্ক। চিকিত্‍সা বিজ্ঞানীদের মতে, বীর্যের সংস্পর্শে এলে কিছু কিছু মহিলার ত্বকে বিভিন্ন উদ্ভট উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এর ফলে ক্রমে সঙ্গমের নাম শুনলে ভীত হয়ে পড়েন তাঁরা।
বিস্তারিত

মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৪

ঘমন্ত অবস্থায় শয্যামূত্র বা অসাড়ে মূত্রত্যাগের কারণ এবং প্রতিকার

শয্যামূত্র বা অসাড়ে মূত্রত্যাগ (Enuresis) সাধারনত শিশুদের রোগ তবে অনেক সময় বড়দের এবং বৃদ্ধদেরও এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে মূত্রথলির দূর্বলতা পক্ষাঘাত বশত মূত্রধারণ ক্ষমতা সম্পূর্ণ বা আংশিক ভাবে লোপ পায়। শিশুরা ঘমন্ত অবস্থায় মূত্রত্যাগ করে।
বিস্তারিত

বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৪

গনোরিয়া - সংক্রমিত এক জটিল যৌন রোগ

নারী পুরুষের জটিল যৌন রোগ গুলির মধ্যে গনোরিয়া এমন একটি রোগ যা কেবল যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে এক পুরুষ থেকে অন্য নারীতে বা এক নারী থেকে অন্য পুরুষে সংক্রমিত হতে থাকে। এ রোগের ক্ষেত্রে রক্তের সঙ্গে জীবাণু সংস্পর্শ খুবই কম। এটি বংশ পরম্পরায় সংক্রমিত হয় না। সাধারণত নারী বা পুরুষের যৌনাঙ্গে এ জীবাণু ক্ষত সৃষ্টি করে থাকে।

এ ক্ষতে পুঁজ সৃষ্টি হয়। এ পুঁজ যদি অন্য নারী বা পুরুষের যৌনাঙ্গে স্পর্শ করে তাহলে এ জীবাণু তাদের যৌনাঙ্গে প্রবেশ করে। সেখানে বাসা বাঁধে এবং ক্ষতের সৃষ্টি করে।

গনোরিয়া রোগের লক্ষণসমূহ 

নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিলেই বুঝতে হবে পুরুষ বা নারী এ রোগে আক্রান্ত। প্রস্রাবের জ্বালা অনুভূত হতে থাকে। প্রস্রাবের পরে চাপ দিলে সামান্য আঠা আঠা মতো পুঁজ দেখা দেয়। চিকিৎসা না করালে ধীরে ধীরে প্রস্রাবের জ্বালা ও ব্যথা বৃদ্ধি পায়। পুরুষের ইন্দ্রিয় বাইরে ও নারীর যোনির চারদিকে ঘা হতে দেখা যায়। এসব ঘায়ে জ্বালা ও তাতে পুঁজ হয়ে থাকে। ক্রমশ ঘা আরও ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ব্যথা বেড়ে যায়। অনেক সময় প্রস্রাব বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয় এবং প্রস্রাব করতে ভীষণ কষ্ট হয়।
গনোরিয়া - সংক্রমিত এক জটিল যৌন রোগ
অল্প অল্প জ্বর দেখা দেয়। জ্বরের সঙ্গে মাথাধরা, গা-হাত পা ম্যাজ ম্যাজ করা, শরীরের ভুগলে ঋতুতে গণ্ডগোল হয়। ঋতুস্রাত বেশি হতে থাকে। কখনো মাসে দুবার হয়। আবার কখনো ঋতুস্রাব শেষে শ্বেতস্রাব হতে থাকে।

ভয়াবহ ক্ষতিকর দিকগুলো

এ রোগ হলে পুরুষের চেয়ে নারীদেরই বেশি ক্ষতি হয়। নারীর সঙ্গে তার সন্তানেরও ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। নিচে সেদিকগুলো তুলে ধরা হলো। নারীর ডিম্ববাহী ও নারীর ডিম্বকোষ আক্রান্ত হলে তার সন্তান জন্ম চিরদিনের জন্য বন্ধ্য ও নারী বন্ধ্যত্ববরণ করতে পারে। কখনো কখনো গর্ভবতী হওয়ার প্রথম অবস্থায় ওই রোগ হলে গর্ভস্থ ভ্রূণ গর্ভপাত হয়ে পড়ে যায়, তার জরায়ু থেকে প্রচুর রক্তপাত হতে থাকে। গর্ভের শেষ অবস্থায় এ রোগ হলে সন্তান জন্মের সময় তার চোখে রোগের পুঁজ লেগে শিশু অন্ধ হয়ে যেতে পারে।

গনোরিয়া রোগের চিকিৎসা

হোমিওপ্যাথি চিকিত্সায় গনোরিয়া রোগের স্থায়ী সমাধান বিদ্যমান। প্রপার ট্রিটমেন্ট এ নিয়মিত ঔষধ খেয়ে গেলে গনোরিয়ার জীবানু মূল থেকে চিরদিনের জন্য দূর হয়ে যায়। হোমিও ঔষধ কোনো প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে না। তাই নানা প্রকার উচ্চ শক্তির এন্টিবায়োটিকের উপর নির্ভর না করে হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা নিন। কোনো প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই অল্প কিছু দিনে সুস্থ হয়ে উঠবেন আশা করি।

অন্যান্য ব্যবস্থা

যদি রোগীর জ্বর থাকে তাহলে জ্বরের জন্য হালকা খাবার যেমন_ পাউরুটি সেঁকে বা হরলিকস প্রভৃতি হালকা ও তরল খাবার দিতে হবে। এ রোগ হলে সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত যৌন মিলন করা যাবে না। স্বামী-স্ত্রীকে পূর্ণ চিকিৎসা দ্বারা সুস্থ হতে হবে আগে। না হলে এর ফল খুবই খারাপ হবে।
বিস্তারিত

মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০১৪

HIV - AIDS কি? এইডস্ সম্পর্কে জানুন এবং সচেতন হন

এইডস্ হলো শরীর বা মনের অস্বাভাবিক অবস্থা নির্দেশক লক্ষণসমষ্টি -যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতির কারণে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় আত্মপ্রকাশ করে। এক ধরনের ভাইরাস এর মাধ্যমে এইডস্ এক জনের দেহ থেকে অন্যের দেহে সংক্রমিত হয়। কোন মানুষ এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে তাদেরকে HIV+ বলা হয়।

HIV কি: এটি একটি ভাইরাসের নাম, যার পূর্ণাংগ রূপ হলো Human immunodeficiency virus।

AIDS কি:- HIV ভাইরাসের সংক্রমনের ফলে যে রোগ সৃষ্টি হয়, তাকে বলা হয় AIDS।
HIV - AIDS কি? এইডস্ সম্পর্কে জানুন এবং সচেতন হন

H IV ভাইরাসের সংক্রমন কিভাবে হতে পারে?

  • অনৈতিক ও অনিরাপদ যৌন সংগমঃ অনৈতিক বলতে বোঝানো হচ্ছে বহুগামিতা বা একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে যৌনমিলনের ইতিহাস। অনিরাপদ বলতে বোঝানো হচ্ছে কনডম বিহীন সঙ্গম, যা একজন সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে করার ফলে আপনিও সংক্রমিত হতে পারেন। যোনী পথ, পায়ু পথ ও মুখ পথ- তিন ক্ষেত্রেই বীর্যপাতের মাধ্যমে ভাইরাসের সংক্রমন হতে পারে। কনডোম বিহীন অবস্থাতেও বীর্যপাতে অভ্যন্তরে ঘটা থেকে সম্পূর্ণ রহিত করা গেলেও ভাইরাসের সংক্রমন থেকে বাচা যায় যদি মুখ, পায়ুপথ বা যোনীপথে কোন কাটা-ছেড়া না থাকে। পুরুষের কাছ থেকে নারী সংক্রমিত হয়, কিন্তু নারীর কাছ থেকে পুরুষের সংক্রমনের সম্ভাবনা কম। যদি আক্রান্ত নারীর যোনীরস পুরুষাঙ্গের ভিতরে ঢুকে পরে না পুরুষাঙ্গে কোন কাটা ছেড়া থাকে, তবে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একই সেক্স টয় এর ব্যবহারেও ভাইরাস ছড়াতে পারে। চুমুর মাধ্যমে ভাইরাসের সংক্রমন হয়না যদি উভয়েরই মুখে কাটা বা দাতে দিয়ে রক্ত পরার সমস্যা না থাকে।
  • রক্তগ্রহণ ও ব্যবহৃত সুই ব্যবহারঃ সংক্রমিত ব্যক্তির কাছ থেকে রক্ত বা কোন অংগ (যেমন কিডনী) গ্রহণের মাধ্যমে আপনি সংক্রমিত হতে পারেন, কিন্তু আপনি রক্ত বা অংগ দান করলে ভয়ের কিছু নেই। সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহৃত সুই ব্যবহারের মাধ্যমেও আপনি সংক্রমিত হতে পারেন।
  • আক্রান্ত মায়ের গর্ভস্থ শিশুও মা হতে সংক্রমিত হয়।
কিন্তু সাধারণ ছোয়া, একই দ্রব্য ব্যবহার (সেক্স টয় ব্যতীত), সর্দি-কফ বা মশার কামড়ের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায় না।

HIV দ্বারা সংক্রমনের লক্ষণ

সংক্রমিত হওয়ার ২-৪ সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে কিছু ফ্লু-জাতীয় লক্ষন যেমন জ্বর, গলাব্যথা, লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া, মাংস পেষীতে ব্যথা, জয়েন্ট এ ব্যথা ইত্যাদি দেখা যেতে পারে। এরপর আবার ব্যক্তি একেবারে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায়। এভাবে ভাইরাস কোন লক্ষন প্রকাশ না করে চুপচাপ ১০ বছর পর্যন্ত শরীরে বসে থাকতে পারে। কিন্তু এই সময়ে কোন লক্ষন না থাকলেও সংক্রমিত ব্যক্তি অন্যদের সংক্রমিত করতে থাকে।

HIV কিভাবে AIDS ঘটায়?

HIV যতদিন শরীরে থাকে, আস্তে আস্তে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে থাকে। আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধে সাহায্যকারী CD4 T কোষগুলো কে ভাইরাস টি ধ্বংস করতে থাকে। যখন প্রতি মিলিমিটার আয়তনের রক্তে CD4 T কোষের সংখ্যা ২০০ এর নীচে নামে তখন AIDS এর লক্ষন পরিপূর্ণ প্রকাশ পায়। CD4 T কোষের সংখ্যা ২০০ এর নীচে নামতে ১০ বছরও সময় লাগতে পারে।

AIDS এর লক্ষণ কি?

AIDS এর নিজস্ব কোন লক্ষণ নেই। এটি শুধুমাত্র শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে দূর্বল করে বসে থাকে। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি এই জীবানুপূর্ণ পৃথিবীতে সম্পূর্ণ অরক্ষিত হয়ে পরে। এই সময়ে সমস্ত সাধারণ জীবানু দ্বারাও সে আক্রান্ত ও কাবু হয়ে পরে, অথচ সাধারণ অবস্থায় যেসব জীবানুর সঙ্গে যুদ্ধ করা তার জন্য কোন ব্যপার ই ছিলোনা। এই ধরণের জীবানুর আক্রমন কে বলা হয় opportunistic infections বা সুযোগ-সন্ধানী আক্রমন (যেহেতু রোগীর রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর্বল, এই সুযোগে সে আক্রমন করেছে)। opportunistic infections এর কারণে যেসব লক্ষণ দেখা যায়, তা হলো-
  • ঠান্ডা লাগা
  • সপ্তাহব্যপী ১০০ ডিগ্রী এর উপরে জ্বর থাকা
  • রাতের বেলা ঘাম হওয়া
  • লিম্ফ গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া
  • ওজন কমতে থাকা
  • মাংস পেষীতে ব্যথা
  • জয়েন্ট এ ব্যথা
  • সার্বক্ষনিক দূর্বলতা বোধ করা
  • ক্রমাগত ডায়রিয়া থাকা
  • মুখে ও জীহবায় সাদা ঘা থাকা
আস্তে আস্তে আরো ভয়াবহ রোগ ও তার শরীরে বাসা বাধতে থাকে যেমন- মেনিঞ্জাইটিস, যক্ষা, ক্যানসার, নিওমোনিয়া, সাইটোমেগালো ও হার্পিস ভাইরাসের আক্রমন ইত্যাদি।

চিকিতসা

AIDS এর এখন পর্যন্ত কোন নিরাময় নেই তবে চিকিতসা আছে। AIDS এর চিকিতসায় ব্যবহৃত হয় highly active antiretroviral therapy বা HAART। এটি মূলত একাধিক এন্টি ভাইরাল ওষুধের সমন্বয়। এটি শরীর থেকে ভাইরাস দূর করতে পারেনা, কিন্তু কমাতে পারে। ফলে CD4 T কোষ এর সংখ্যা ২০০ এর নীচে নামেনা। CD4 T কোষ এর সংখ্যা ২০০ এর উপরে থাকলে আক্রান্ত ব্যক্তির আয়ুষ্কাল ও সুস্থ্যতা-দুই ই বৃদ্ধি পায়। কিন্তু দীর্ঘকাল একই এন্টি ভাইরাল ওষুধের কম্বিনেশন ব্যবহার করলে ভাইরাসটি এই ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে যেতে পারে, তাই ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে একাধিক কম্বিনেশন ব্যবহার করা হয়। তবে এই চিকিতসার কিছু মারাত্মক প্বার্শপ্রতিক্রিয়া আছে- যেমন কাধে কুজের মত চর্বি জমা, হার্ট এটাকের ঝুকি বেড়ে যাওয়া, কোলেস্টেরল ও ব্লাড গ্লুকোজ বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।

HIV ভাইরাসের সংক্রমন হওয়ার সাথে সাথে তা যদি নির্ণয় করা যায় এবং AIDS এর লক্ষন প্রকাশের আগেই চিকিতসা শুরু করা যায়, রোগীর আয়ুস্কাল ও বেড়ে যায়।

তাছাড়া কেউ যদি আক্রান্ত হওয়ার মত ঝুকিপূর্ণ আচরণ করে বা করতে বাধ্য হয়, তবে ৭২ ঘন্টার মধ্যে PEP (post-exposure prophylaxis) ওষুধটি গ্রহণ করলে প্বার্শপ্রতিক্রিয়া থাকলেও মোটামোটি ভাবে ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব।

কারা ঝুকি তে আছেন ?

  • বহুগামী যৌন আচরনের অভ্যস্ত ব্যক্তি
  • সুই ব্যবহার কারী মাদকাসক্ত ব্যক্তি
  • কোন ব্যক্তির স্বামী বা স্ত্রী ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত থাকলে বা মাদকাসক্ত হলে বা বহুগামী আচরনে অভ্যস্থ হলে
  • আক্রান্ত মায়ের গর্ভস্থ সন্তান
  • অপরিক্ষীত রক্ত গ্রহনকারী ব্যক্তি

আপনি ঝুকিপূর্ণদের একজন হলে কি করবেন ?

যদি আপনি গত তিনমাসের মধ্যে কোন ঝুকিপূর্ণ আচরন (যেমন অনৈতিক বা অনিরাপদ সঙ্গম, ব্যবহৃত সুই ব্যবহার, অপরিক্ষীত রক্ত গ্রহণ ইত্যাদি) করে থাকেন তাহলে,রক্তে HIV এর উপস্থিতির জন্য পরীক্ষা করান। তিন মাস পরে পরীক্ষা করানোটাই সবচেয়ে ভালো কারন এর আগে অনেক সময় ই রক্তে ভাইরাসের উপস্থিতি বোঝা যায়না। পরীক্ষাতে HIV এর উপস্থিতি বোঝা গেলে আরো কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে সংক্রমন কতটা ভয়াবহ বা কি পরিমাণ ভাইরাস শরীরের আছে তা নির্ণয় করা হয়। এরপর AIDS এর লক্ষন প্রকাশের জন্য অপেক্ষা না করেই চিকিতসা শুরু করে দেয়া সম্ভব। এবং যত তারাতারি নির্ণয় করে চিকিতসা শুরু করা যায়, রোগীর আয়ুষ্কাল ও সুস্থতার মাত্রা- দুই ই বৃদ্ধি পায়। সুতরাং, যদি আপনি ঝিকিপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে থাকেন, সচেতন হোন এবং রোগ নির্নয়ে এখনই পদক্ষেপ নিন।

কখন নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনি আক্রান্ত হননি ?

যদি ঝুকিপূর্ণ আচরন করার ছয়মাস পরে টেস্ট করে কোন ভাইরাসের উপস্থিতি না পান, তবে নিশ্চিত হতে পারবেন যে, এইবারের ঝুকিপূর্ণ আচরন দ্বারা আপনি আক্রান্ত হননি।

টেস্টের রেজাল্ট নেগেটিভ আসা মানে কি আপনার সঙ্গীও সংক্রমন মুক্ত ?

আপনার টেস্টের রেজাল্ট দিয়ে আপনার সঙ্গীর অবস্থা যাচাই করা যাবেনা। হতে পারে যে, সে আক্রান্ত কিন্তু আপনি এখন পর্যন্ত তার দ্বারা সংক্রমিত হননি।

আপনার পরিবারের জন্য আপনার কি করণীয় ?

  • AIDS কি এবং কিভাবে হতে পারে-পরিবারের সবাইকে শিক্ষা দিন।মুখে না বলে, এক্ষেত্রে এ সংক্রান্ত বই-পুস্তক বা পোস্টার সরবরাহ করতে পারেন।
  • শিশু-কিশোর দের নৈতিকতা শিক্ষা দিন
  • যে কোন প্রয়োজনে রক্ত নেওয়ার আগে, রক্ত পরীক্ষা করে নিন বা বিশ্বস্ত পরিচিত লোকের শরীর থেকে রক্ত নিন।
  • পরিবারের কোন মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার আগে অবশ্যই ছেলে সম্পর্কে ভালো ভাবে খোজ নিন। বিদেশে বেশীদিন থাকা পাত্র দেখে মাত্র লালায়িত না হয়ে, তার বিদেশ জীবন সম্পর্কে ভালো মত খোজ নিন। অবশ্যই বিদেশে থাকা সবাই খারাপ না, কিন্তু অনেকে দীর্ঘ প্রবাসে নিঃসঙ্গতা ও সহজলভ্যতার কারণে অনৈতিক আচরন ও মাদক গ্রহণে জড়িয়ে পরে।
  • কেউ ধর্ষিত হলে তিন মাস পর, HIV পরীক্ষা করান।
সবার পরিবারের সুস্থ্যতা কামনা করি। সবাই ভালো থাকবেন।
বিস্তারিত

শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০১৩

সিফিলিস একটি কষ্টদায়ক যৌন সংক্রামক ব্যাধি - এর সুচিকিৎসা কোথায় পাবেন জেনে নিন।

সিফিলিস একটি জটিল যৌন সংক্রামক রোগ। নামটি এসেছে ফন্সাক্যাসটেরো নামক একজন চিকিৎসক, জ্যোতির্বিদ ও কবি (১৪৮৩-১৫৫৩) এর লেখা একটি কবিতা থেকে। কবিতার নায়কের নাম ছিল সিফিলাস, সে একজন মেষ পালক ছিল। ঈশ্বর ও ধর্ম নিন্দা করার জন্য তাকে একটি নতুন রোগ দিয়ে শাস্তি দেয়া হয়।

বলা হয়ে থাকে, আমেরিকা আবিষ্কারের পর (১৪৯২) কলম্বাসের নাবিকদের মাধ্যমে সিফিলিস রোগটি ইউরোপে আসে। সংক্রমিত নাবিকরা নেপলস অবরোধে অংশ নেয়ার সময় (১৪৯৫) ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মার্সিনারিদের সাথে একত্রে থাকে। সৈনিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ছড়িয়ে পড়ার ফলে সারা ইউরোপে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে­ ষোল শতকের মাঝামাঝি রোগটা জাপানে পৌঁছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সিফিলিসের প্রাদুর্ভাব নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায়। বাংলাদেশে এ রোগের প্রভাব ব্যাপক, শহর এলাকায় রোগটা সচরাচর বেশি পরিলক্ষিত হয়। বন্দর নগরীতে এবং শিল্প এলাকায় এই রোগের সংক্রমণ বেশি।
সিফিলিস একটি কষ্টদায়ক যৌন সংক্রামক ব্যাধি
ট্রেপোনেমা প্যালিডাম নামক জীবাণুর সংক্রমণে সিফিলিস রোগ ঘটে। জীবাণুটি ১৯০৫ সালে আবিষ্কার করেন প্রাণিবিজ্ঞানী এফ শাওডিন এবং চর্ম বিশেষজ্ঞ ই হফম্যান। শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আগে রোগটি ধরা পড়লে সহজে চিকিৎসা করা যায়।

সংক্রমণের উৎস :- আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বক ও শ্লেষ্মাঝিল্লির ক্ষত, লালা, বীর্য, যোনি থেকে নিঃসৃত রস ও রক্ত।

যেভাবে রোগটি ছড়ায়

  • আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে সরাসরি যৌন সঙ্গম করলে। 
  • আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে পায়ুপথে সঙ্গম কিংবা মুখ মৈথুন করলে অথবা চুম্বন বিনিময় করলে। 
  • রক্তসঞ্চালন কিংবা ইনজেকশনের মাধ্যমে। 
  • গর্ভাবস্খায় আক্রান্ত মায়ের কাছ থেকে সন্তানের মধ্যে।
প্রাথমিক গোটা :-অধিকাংশ ক্ষেত্রে সিফিলিস আক্রান্ত পুরুষের লিঙ্গমুণ্ডুতে কিংবা লিঙ্গমুণ্ডুর ত্বকে গোটা ওঠে; নারীর ক্ষেত্রে গোটা ওঠে যোনির ঠোঁট কিংবা ক্লাইটরিসে। গোটাটি প্রথমে একটি ছোট লাল দানার মতো শুরু হয়, তার পর তা ভেজা ও ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে থাকে। গোড়ার দিকে তা বোতামের মতো শক্ত অনুভূত হয়। এটা দেখতে খুব ছোট কিংবা আঙুলের নখের মতো হতে পারে। অয়েন্টমেন্ট লাগিয়ে চিকিৎসা অর্থহীন, কারণ জীবাণু শরীরের গভীরে প্রবেশ করে।

রোগের উপসর্গ সিফিলিসের প্রাথমিক স্তর :- শরীরে জীবাণু প্রবেশের সাধারণত ১০ থেকে ৪০ দিন পর সরাসরি সংক্রমিত স্খানে ব্যথাহীন গোটা ওঠে। যৌনাঙ্গ ছাড়া এই গোটা মলদ্বার, ঠোঁট কিংবা স্তনের বোঁটাতে হতে পারে। কাছাকাছি গ্রন্থিগুলো ফুলে উঠতে পারে। চার থেকে ১০ সপ্তাহের মধ্যে গোটা চলে যায়। প্রথম স্তরে রোগ সারানো খুব সহজ হয়।

সিফিলিসের দ্বিতীয় স্তর :- সংক্রমণের ৬ সপ্তাহ থেকে তিন মাস পর সব শরীরে ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। মাথার চুল পড়ে। মাথা ব্যথা, সামান্য জ্বর এবং গ্রন্থিগুলো ফোলা হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তি তীব্রভাবে সংক্রমিত হয়, তার মুখের ত্বক যদি ছিঁড়ে যায় তাহলে চুমুর মাধ্যমে রোগ ছড়াতে পারে। প্রায় এক বছরের মধ্যে রোগের চিহ্নগুলো মিলিয়ে যায়।

সিফিলিসের শেষ স্তর :- স্খিরতার কাল থেকে ৩০ বছর পর (সুপ্ত স্তর) রোগটি শরীরের যেকোনো অংশকে আক্রমণ করতে পারে। সাধারণত হৃৎপিণ্ড, রক্তনালী, মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুরুজ্জু আক্রান্ত হয়। অন্যান্য প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে মুখে ঘা, ত্বক, হাড় ও লিগামেন্টের ক্ষয়। বড় ধরনের প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে অন্ধ হয়ে যাওয়া, অঙ্গ অসাড়, উন্মাদনা এবং মৃত্যু। শারীরিক ক্ষতি পূরণ করা যায় না।

জন্মগত সিফিলিস :- গর্ভাবস্খায় আক্রান্ত মায়ের কাছ থেকে গর্ভফুলের মাধ্যমে গর্ভস্খ শিশু সিফিলিসে আক্রান্ত হতে পারে। এ ধরনের এক-তৃতীয়াংশেরই গর্ভপাত হয় কিংবা মৃত সন্তান প্রসব ঘটে। প্রাথমিক গর্ভাবস্খায় মায়ের চিকিৎসা করালে শিশু রক্ষা পায়।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা

সেরোলজিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে সিফিলিসের জীবাণু ধরা পড়ে। সিফিলিসে আক্রান্ত হওয়ার চার সপ্তাহ থেকে সেরোলজিক্যাল পরীক্ষাগুলো পজিটিভ হয়। মাঝে মধ্যে ভ্রান্তিমূলক পজিটিভ হতে পারে। ভিডিআরএল এবং আরপিআর পরীক্ষা অন্য সংক্রমণ কানেকটিভ ইস্যুর অসুখে পজিটিভ হয়। ফলাফল বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা যায়। যদি সিফিলিস সন্দেহ করা হয় তাহলে লাইপয়ডাল এন্টিজেন এবং বিশেষ পরীক্ষাগুলো একত্রে করা হয়। সুপ্তস্তরে স্নায়ুজনিত অসুস্খতা পৃথক কিংবা নিশ্চিত করার জন্য সিএসএফ পরীক্ষা করা হয়।

সিফিলিসের সেরোলজিক্যাল পরীক্ষা:- ভিডিআরএল (ভেনেরাল ডিজিজ রিসার্স ল্যাবরেটরি) পরীক্ষা। -আরপিআর (র‌্যাপিড প্লাজমা রিয়াজিন) -টিপিএইচএ (ট্রেপোনেমা প্যালিডাম হেমাগ্লুটিনেশন অ্যাসেই)। -এফটিএ-এবিএস (ফ্লুরোসেন্ট ট্রেপোনেমাল এন্টিবডি এবসর্বড) -ট্রেপোনেমাল এনজাইম-লিংকড) ইম্যুনোসরবেন্ট (ELISA)।

চিকিৎসা :- অবশ্যই হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা নিবেন। ডাক্তারের পরামর্শক্রমে সঠিক সময়ে চিকিত্সা না নিলে পরে দেখা দিতে পারে নানান জটিলতা। হোমিওপ্যাথিক নিয়মে এর যথাযথ চিকিত্সা বিদ্যমান যা অতি দ্রুত আরোগ্য করতে সক্ষম।  আপনি যদি এ ধরনের কোনো সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে কোনো প্রকার সংকোচ না করে আপনার বিস্তারিত সমস্যা আমাদের জানালে, আমরা আপনার অবস্থার আলোকে যথাযথ সমাধান দিব।
বিস্তারিত