রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৫

বিবাহিত জীবনের যে নিয়মগুলো মেনে না চলাই ভালো!

দাম্পত্য মানেই হরেক রকমের নিয়ম। এটা করা যাবে না, সেটা করা যাবে না কিংবা এটা-ওটা অবশ্যই করতে হবে- যুগে যুগে কালে কালে দাম্পত্য বিষয়ে এমন অসংখ্য নিয়মের কথা আমরা শুনে এসেছি এবং বলাই বাহুল্য যে পালনও করে যাচ্ছি। কিন্তু আসল ব্যাপারটা কি কেউ জানি? যেমন ধরুন, ঝগড়া করে নাকি আলাদা ঘুমানো ভালো নয়। কী হবে, যদি মাঝে মাঝে ঝগড়া করে আলাদাই ঘুমিয়ে যান? কিংবা কী হবে যদি সঙ্গীর কাছ থেকে কিছু কথা গোপনই রাখেন? জেনে নিন দাম্পত্যের এমন ১০টি নিয়মের কথা যেগুলো মাঝে মাঝে ভঙ্গ করা আসলে সম্পর্কের জন্যই ভালো। এতে সম্পর্কে থ্রিল আর রোমান্স, দুটোই বজায় থাকে অনেকদিন।
বিবাহিত জীবনের যে নিয়মগুলো মেনে না চলাই ভালো!
নিয়ম ১:- কখনোই রাগ নিয়ে ঘুমাতে যাবেন না রাগ নিয়ে ঘুমাতে যাবেন না কথাটির অর্থ হলো দাম্পত্যে বেশিক্ষণ রাগ করে থাকবেন না। তবে সত্য বলতে কি, মাঝে মাঝে একটুখানি রাগের প্রকাশ ভালো। তাতে সঙ্গী বোঝেন যে কোন ব্যাপারগুলো আপনার খারাপ লাগে। রাগ করে ঘুমিয়ে যাওয়াটাও খারাপ নয়। এতে বরং রাগ প্রশমিত হয়, দুজনেই মাথা ঠাণ্ডা করার সুযোগ পান এবং সকালে সব ঠিক হয়ে যায়।

নিয়ম ২:- সন্তানকে সর্বদাই প্রথমে রাখুন সন্তান খুবই গুরুত্বপূর্ণ সন্দেহ নেই। কিন্তু সবার আগে নিজেদের দাম্পত্যকেই রাখুন। আপনাদের সম্পর্ক ভালো থাকলে তবেই সন্তান সুখে থাকবে। 

নিয়ম ৩:- যৌন মিলনই সম্পর্ক রক্ষার প্রথম অস্ত্র সম্পর্ক মানে কেবলই যৌন মিলন নয় কিংবা ইচ্ছা না হলেও সঙ্গীকে খুশি করার জন্য যৌন মিলন >>> করতে হবে এমন কোন আইন নেই। সম্পর্কটিকে এমন করে তুলুন যেন মনের মিলনতাই আসল হয় এবং যৌন আকর্ষণ ধরে রাখার জন্য যা যা করতে হয় করুন। 

নিয়ম-৪:- পরস্পরের শখগুলোকে আপন করে করতে হবে এটা মোটেও কোন কাজের নিয়ম নয়। হ্যাঁ, দুজনের শখে মিল থাকা ভালো। কিন্তু সবকিছুই যদি একিই রকম হয় তাহলে খুব দ্রুত বৈচিত্র্য হারাবে জীবন। 

নিয়ম-৫:- রাগ করে কখনো পরস্পরকে দূরে সরিয়ে রাখবেন না না, খুব বেশী দূরত্বে কখনো যাবেন না। তবে মাঝে মাঝে একটু টক-মিষ্টি রাগারাগি কিন্তু বেশ ভালো জিনিস। দূরে গেলে তবেই না কাছে আসার আনন্দ পাওয়া যায়? 

নিয়ম-৬:- ঝগড়া করা চলবে না মোটেও ঝগড়ার অর্থ এই নয় যে আপনাদের সম্পর্ক খারাপ বা আপনারা কেউ কাউকে ভালোবাসেন না। বরং মাঝে মাঝে ঝগড়া মন পরিষ্কার করতে ও ভালোবাসা বাড়াতে সাহায্য করে। 

নিয়ম-৭:- সর্বদা সৎ থাকতে হবে না, সর্বদা সব কথাই যে জীবনসঙ্গীকে বলে দিতে হবে এমন কোন নিয়ম নেই। কিছু কথা না বলাই ভালো, বিশেষ করে এমন কিছু যেটা জানলে তিনি মনে কষ্ট পেতে পারেন। 

নিয়ম-৮:- দাম্পত্য খুবই সিরিয়াস একটি বিষয় দাম্পত্য সারাজীবনের একটি বিষয়। হ্যাঁ, এটি অবশ্যই সিরিয়াস। কিন্তু তাই বলে সারাক্ষণ গুরুগম্ভীর আচরণ করতে হবে এমন কোন কথা নেই। দাম্পত্যে যত হাসি-আনন্দ থাকবে, সম্পর্ক হবে ততই সুখের। 

নিয়ম-৯:- পরস্পরকে ছাড়া আনন্দ করবেন না একবার ভাবুন তো, রোজ রোজ একই খাবার খেতে বা একই পোশাক পড়তে আপনার ভালো লাগবে? তাহলে রোজ রোজ একই মানুষের সাথে সময় কাটাতেই বা ভালো লাগবে কেন? সঙ্গীকে অবশ্যই গুরুত্ব দেবেন, কিন্তু তাঁকে সুযোগ দিন আপনাকে ছাড়াও নিজের আপনজনদের সাথে আনন্দ করার। এবং নিজেই একই কাজ করুন। 

নিয়ম-১০:- কখনো আলাদা বিছানায় ঘুমাবেন না আলাদা বিছানায় ঘুমালেই যে দাম্পত্য শেষ, বিষয়টি এমন নয়। শারীরিক অসুস্থতা থেকে শুরু করে অনেক বিষয়েই দম্পতিরা আলাদা ঘুমাতে পারেন। ভালোবাসা থাকলে আসলে সব ঠিক।
বিস্তারিত

বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৫

বিয়ের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলি মনে রাখা জরুরি

বলা হয়, বিয়ের বিষয়টি স্বর্গীয় এবং সেখানেই এর ফয়সালা ঘটে। এ কারণে বিয়ে নিয়ে মানুষের এত জল্পনা-কল্পনা, আনন্দ আর উত্তেজনা। কিন্তু গোটা বিশ্বে বিবাহ বিচ্ছেদের হার আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কাজেই এত আয়োজন কি সব নিরর্থক? বিশেষজ্ঞের মতে, কিছু ভুল কারণের ওপর ভিত্তি করে মানুষ বিয়ে করেন। বিয়ের পর এসব কারণের সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায় না। তখনই দাম্পত্য জীবন মানুষকে নিরাশ করে। আর তাই কাল হয়ে দাঁড়ায়। এখানে জেনে নিন, বিয়ে সম্পর্কে ১০টি ধারণার কথা যা আসলে ভুল চিন্তার সামিল।

১. আপনি হয়তো একাকী মানুষ যিনি পেশাজীবন নিয়ে দারুণ ব্যস্ত সময় কাটান। অনেকে মনে করেন, এই একঘেয়েমি অবস্থার অবসান ঘটবে যখন একজন সঙ্গী বা সঙ্গিনী পাওয়া যাবে। মূলত এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্যে বিয়ে করা হয়। বিয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এটি নয়। 
বিয়ের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলি মনে রাখা জরুরি
২. কারো সঙ্গে ডেটিং দেওয়া মানেই তাকে বিয়ে করা কোনো নিয়মের মধ্যে পড়ে না। তাকে যদি ভালো নাই বাসেন, শুধু সময় কাটাতে ডেটিং দিয়েছেন, সেক্ষেত্রে বিয়ে করাটা বড় ধরনের ভুল। তাকে জীবনের আদর্শ সঙ্গী-সঙ্গিনী মনে না করা পর্যন্ত বিয়ে করা উচিত নয়। 

৩. অনেকেই মনে করেন, বয়স হয়ে যাচ্ছে দেখে বিয়ে করে ফেলা উচিত। এটা বিয়ের একমাত্র কারণ হতে পারে না। অন্যান্য বিষয় যখন আসে, তখন সব পাল্টে যায়। 

৪. দৈহিক সৌন্দর্য মুগ্ধ হয়ে বিয়ের ইচ্ছা অন্যতম ভুলের একটি। বিয়েটা কোনো মোহ নয়। শুধু মোহাচ্ছন্ন হয়ে বিয়ে করলে পরবর্তীতে মোহ কেটে যাওয়ার পর সংসারে বিতৃষ্ণা চলে আসতে পারে। 

৫. একটা সময় পর্যন্ত মানুষ একাকী থাকতে পারে। এরপর একা থাকাটা অসহনীয় হয়ে ওঠে। তখন মনে হয়, যাকে পাওয়া যাবে তাকেই বিয়ে করে ফেলতে হবে। এই উদ্দেশ্যে বিয়ে করলে শিগগিরই অস্থিরতা ভর করবে। 

৬. অনেকেই অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যে বিয়েকে উপায় হিসাবে গ্রহণ করেন। ধনী পুরুষ বা সম্পদশালীর মেয়েকে বিয়ে করতে চান অনেকে। এখানে অর্থটাই মুখ্য থাকে। বিয়ে, আত্মিক বন্ধন, সংসার এগুলো হয়ে পড়ে মূল্যহীন। তাই এই কারণটি বিয়ের শর্ত হতে পারেন না। 

৭. সম্পর্কে জড়ানোর পর একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করেন। দুজনের চাওয়া-পাওয়ার সমন্বয় হয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন প্রেমিক-প্রেমিকারা। কিন্তু একটা সময় আসতে পারে যখন মনে হবে যে, দুজন আসলে দুজনের জন্যে নন। তখন সরে আসাটাই বুদ্ধিমানে লক্ষণ। কিন্তু অনেকেই মানসিক টানাপড়েনে ভোগেন। ভাবেন, যেহেতু প্রেম করেছি, কাজেই মন না চাইলেও বিয়ে করতেই হবে। এতে করে ওই বিয়েটা স্বপ্নহীন হয়ে পড়ে। 

৮. সব বন্ধুই বিয়ে করে ফেলছেন। কাজেই ইচ্ছা না করলেও আপনার করতে হচ্ছে। এ ধরনের চাপ পরিবার ও বন্ধুমহল থেকে আসে। সব বিবাহিত বন্ধুদের মাঝে ব্যাচেলর হয়ে থাকা কিছুটা অস্বস্তিকর হতে পারে। কিন্তু তাদের সঙ্গে খাপা খাওয়ানোর জন্যে বিয়ে করা অর্থহীন। 

৯. বিয়ে না করতে চাইলেও বাবা-মায়ের চাপে বিয়ে করার কোনো অর্থ থাকে না। অভিভাবক চাইছেন বলেই বিয়ে করেছেন। সংসারধর্ম পালনের স্বপ্ন আপনি দেখেননি। সে ক্ষেত্রে দাম্পত্য জীবন কখনো টেকে না। 

১০. আরেকটি বিষয় মনে কাজ করে। তা হলো, একজন সঙ্গী বা সঙ্গিনী থাকলে সে আপনার দেখভাল করতে পারবে। নিজের যত্নআত্তির জন্যে যদি বিয়ে করেন, তবে আপনি স্বামী বা স্ত্রীকে স্রেফ সেবক-সেবিকার স্থানে রেখেছেন। বিয়ের বন্ধন এই উদ্দেশ্য সৃষ্টি হয়নি।
বিস্তারিত

শুক্রবার, ২০ মার্চ, ২০১৫

বাংলাদেশের অনলাইন নিউজপেপারগুলি সম্পর্কে মানুষের কতটুকু সুধারণা !!

ভিডিওটি একটু সময় নিয়ে দেখুন। বাংলাদেশের অনলাইন নিউজপেপারগুলি সম্পর্কে একটা বাস্তব ধারণা পাবেন। সংবাদ পত্রের নাম করে কি করছেন তারা ?? তারা কি শুধু বিজ্ঞাপন দিয়ে টাকা পয়সা কামানোর ধান্দায় লিপ্ত নাকি বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন করে জন-মানুষের উপকার করছে ? ভিডিওটি ইউটিউব থেকে সংগৃহীত।
বিস্তারিত

শনিবার, ৭ মার্চ, ২০১৫

নারীদের স্তনের বোটা ভেতরে ঢুকে যাওয়ার কারণ ও সামাধান !

একথা কারো অজানা নয় যে - স্বাভাবিকভাবেই একজন পুরুষের চেয়ে একজন নারীর দেহে সমস্যা একটু বেশিই হয়ে থাকে। আর এটি হওয়াটাই স্বভাবিক। কারণ একজন নারীর দেহে বহু রকমের কার্যাদি সম্পন্ন হয়। আর অন্য দিকে পুরুষের ক্ষেত্রে তা অতি নগন্য। বিশেষ করে বয়োঃসন্ধিকালে ও সন্তান জন্ম দেওয়ার প্রক্রিয়া বহু ধরণের সমস্যার সম্মখীন হতে হয়।
বিস্তারিত

শুক্রবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

সোশ্যাল অ্যাক্টিভিটির অভাব অবদমিত যৌন ইচ্ছে বাড়িয়ে দেয়

প্রশ্ন :- আমার বয়স ১৮, উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছি ৷ বন্ধু থাকলেও আমি একটু একা থাকতেই পছন্দ করি ৷ আমি যখন একা থাকি, তখন আমার নগ্ন হয়ে থাকতে ইচ্ছে করে ৷ এই ইচ্ছে দমন করার চেষ্টা করলেও, এটা যখন প্রবল হয়ে ওঠে তখন আমি ঘরের আলো বন্ধ করে নগ্ন হয়ে থাকি ৷ আমি বুঝতে পারি না কেন আমি জামা-কাপড় না পরে থাকতে পছন্দ করি না! লজ্জার কারণে কাউকে আমি একথা বলতে পারি না ৷ এটা খারাপ অভ্যাস হয়ে থাকলে কী করে মুক্তি পাবো? (ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক)
বিস্তারিত

বৃহস্পতিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

প্রেম, বিয়ে, যৌনতা নিয়ে যে স্টেটাস ফেসবুকে কখনও দেবেন না

মন খারাপ হলেই এখন ফেসবুকে স্ট্যাটাস আপডেট করার হিরিক পড়ে গিয়েছে। শুধু মন খারাপই নয়, হাসিতে লুটোপটি হওয়া কিংবা পাশের বাড়ির কাকিমার সঙ্গে কী নিয়ে ঝামেলা হয়েছে তা নিয়েও স্ট্যাটাস আপডেট! ডালে-ঝোলে-অম্বলে-সবেতেই রয়েছে ফেসবুক। তবে এমন অনেক কিছু আছে, যা ফেসবুকে শেয়ার না করলেই আপনার মঙ্গল। কিন্তু মজার বিষয় হল, এমন অনেক ভুল আমরা প্রায় সকলেই করে থাকি।
বিস্তারিত

সোমবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

আপনি পুরুষ? জেনে নিন, বীর্যহীনতার কারণগুলি

জীবনযাপনের একটি অন্যতম অঙ্গ হলেও, সমাজের একটা বড় অংশের কাছেই যৌনতা মানই গোপন বিষয়। কানে কানে বলতে হয়। বন্ধুমহলে ঠাট্টার বিষয়। যার ফলে অনেক ক্ষেত্রেই একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা নারী যৌন সমস্যায় ভুগলে চিকিত্‍সকের কাছে যেতেও লজ্জা পেয়ে থাকেন। অথচ হোমিওতে পুরুষদের যৌন যৌন সমস্যাগুলির সর্বাধিক কার্যকর ট্রিটমেন্ট রয়েছে। কিছুদিনের প্রপার হোমিও ট্রিটমেন্ট নিলেই  এ সংক্রান্ত সমস্যাগুলি মূল থেকে নির্মূল হয়ে রোগী পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে যৌনতায় সক্ষমতা অর্জন করে থাকে এবং এর জন্য বার বার ঔষধ খাওয়ারও প্রয়োজন পড়ে না।

দেখা যায় পুরুষরা অনেকেই মনে করেন, যৌন অসুস্থতা মানেই লজ্জার বিষয়। পৌরুষ নিয়ে প্রশ্ন!। বিশেষ করে আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশে এখনও অনেকের বদ্ধমূল ধারণা, সন্তান না হওয়া শুধুমাত্র মহিলাদেরই সমস্যা। কিন্তু জানেন কি, দেশের শহরগুলিতে বহু দম্পতির পুরুষ সঙ্গী বীর্যহীনতায় ভোগেন। সমীক্ষা বলছে, উপমহাদেশের ভারতের শহরে প্রতি ৫টি দম্পতির মধ্যে একটি দম্পতির পুরুষ সঙ্গী বীর্যহীনতার শিকার। যার জেরে সন্তান লাভ হয় না। 
আপনি পুরুষ? জেনে নিন, বীর্যহীনতার কারণগুলি
বিশ্বের তাবড় চিকিত্‍সা বিজ্ঞানীরা কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন। এই কারণগুলির জন্যই পুরুষ বীর্যহীনতার শিকার হয়ে থাকেন। কারণগুলি নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক। এবং এই ধরনের কোনও শারীরিক সমস্যা হলেই চিকিত্‍সকের পরামর্শ নেওয়া দরকার বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। 

মাম্পস :- বয়ঃসন্ধির পরে যদি মাম্পস হয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিত্‍সকের দ্বারস্থ হওয়া উচিত। কারণ বিজ্ঞানীরা বলছেন, বয়ঃসন্ধির সময় বা পরে মাম্পস, পুরুষের অণ্ডকোষে শুক্রাণু উত্‍পাদনকারী কোষগুলি নষ্ট করে দিতে পারে। ফলে কোনও পুরুষ আজীবন বীর্যহীনতার শিকার হতে পারেন। 

ভ্যারাইকোসেল :- চিকিত্‍সা বিজ্ঞনীরা জানাচ্ছেন, ভ্যারাইকোসেল হল শুক্রনালীর শিরাঘটিত একপ্রকার টিউমার। এই ধরনের টিউমার হলে, যে শিরার মাধ্যমে অণ্ডকোষে রক্ত সঞ্চালিত হয়, সেই শিরা ফুলে যায়। ফলে অণ্ডকোষে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয় না। এবং শুক্রাণু তৈরিও হওয়া কমে যায়। দেখা গিয়েছে, ভ্যারাইকোসেলের সম্পূর্ণ চিকিত্‍সার পরেও মাত্র এক চতুর্থাংশ ব্যক্তির শুক্রাণু তৈরি সন্তোষজনক ভাবে বেড়েছে। 

আনডিসেন্ডেড টেস্টিকল্‌স :- অর্থাত্‍ অণ্ডকোষ অণ্ডথলিতে না গিয়ে, অ্যাবডমেনেই থেকে যাওয়া। পুত্র সন্তানের জন্মের আগে মাতৃগর্ভেই তৈরি হয়ে যায় অণ্ডকোষ। এরপর ঠিক জন্মের কয়েক দিন আগে দু'টি অণ্ডকোষ অ্যাবডমেন থেকে অণ্ডকোষ থলিতে নেমে আসে। মাতৃগর্ভে যখন এই প্রক্রিয়াটি ঠিকমতো হয় না, তখনই আনডিসেন্ডেড টেস্টিকল্স-এর সমস্যা তৈরি হয়। চিকিত্‍সার পরিভাষায় যাকে বলে ক্রিপটরচিডিজম। এর জেরে একজন পুরুষকে সারা জীবন বীর্যহীনতায় ভুগতে হতে পারে। 

টেস্টিকিউলার ক্যান্সার :- অণ্ডকোষে ব্যথা অনুভব করলে অবিলম্বে চিকিত্‍সকের দ্বারস্থ হওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ অনেক সময় অণ্ডকোষে টিউমার হলে এক ধরনের ব্যথা হয়। এই ব্যথাকে অগ্রাহ্য করলে বিপদ। ওই টিউমার থেকে ক্যান্সার হতে পারে। ঠিক সময়ে ধরা না-পড়লে ক্যান্সার ছড়িয়ে যায় দেহের অন্যান্য অংশেও। ফলে মৃত্যুও হতে পারে। 

ডায়াবেটিস :- ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলেও শুক্রাণু তৈরি কমে যেতে পারে। চিকিত্‍সকরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস রোগীদের অনেক ক্ষেত্রেই শুক্রাণু তৈরি কমতে শুরু করে। এক সময় তৈরি হওয়া একেবারে বন্ধ হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। 

অস্ত্রোপচার বা কোনও ক্ষত :- কোনও দুর্ঘটনায় অণ্ডকোষে গুরুতর আঘাত লাগলে বা কোনও ক্ষত হলে শুক্রাণু তৈরিতে প্রভাব পড়ে। খেলতে গিয়ে অণ্ডকোষে আঘাত পেলে বা কোনও দুর্ঘটনায় আহত হলে অণ্ডকোষগুলিতে রক্ত সঞ্চালন কমে যেতে পারে। এমনকি হারনিয়া অস্ত্রোপচারের ফলেও বীর্যহীনতা হতে পারে। 

শারীরির ভারসাম্যহীনতা :-
সঙ্গমের সময় অনেক পুরুষের যৌনাঙ্গ থেকে নির্গত ধাতুতে শুক্রাণু থাকে না। অনেক সময় মূত্রনালীতে সংক্রমণ হলে এই ধরনের সমস্যা হয়। এর ফলে শুক্রাণুর সঙ্গে অন্যান্য তরলের মিশ্রণ না হওয়ায় বীর্য তৈরি হয় না। 

তপ্ত আবহাওয়া বা পরিবেশ :- শুক্রাণু তৈরিতে তাপমাত্রা একটা বড় ভূমিকা নেয়। দেখা গিয়েছে, যে সব ব্যক্তি দিনের পর দিন খুব গরমের মধ্যে কাজ করেন (কারখানা, বয়লার রুম ইত্যাদি), তাঁদের শুক্রাণু তৈরি কমে যায়। 

প্রচণ্ড মানসিক চাপ ও ধূমপাম, মদ্যপান :- বর্তমান সময়ে দেখা গিয়েছে, বীর্যহীনতার অন্যতম কারণ প্রচণ্ড কাজের চাপ, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা, ধূমপান ও মদ্যপান। তবে চিকিত্‍সকরা জানাচ্ছেন, মানসিক রোগ, যেমন অবসাদ, উদ্বেগ কমানোর আধুনিক চিকিত্‍সায় এই ধরনের সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে।
বিস্তারিত

বুধবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

নারী পুরুষের যৌনতা নিয়ে কিছু সার কথা - যা না জানলেই নয়

রতিসুখের চরম বিন্দুতে পৌঁছনোর বিষয়ে এযাবত হয়তো কয়েক কোটি প্রবন্ধ পড়ে ফেলেছেন নিশ্চয়? জেনে রাখুন, ওই সমস্ত আসলে আদ্যপান্ত জঞ্জাল। এ ব্যাপারে আসল কথাটা বলে বিজ্ঞান। আসুন কিছু বিজ্ঞানভিত্তিক যৌনচর্চা হয়ে যাক।
নারী পুরুষের যৌনতা নিয়ে কিছু সার কথা - যা না জানলেই নয়
  • গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মোজা পরে সঙ্গম করলে চরম সুখ প্রাপ্তি হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, পায়ে মোজা পরা থাকলে যৌন সুখ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তবে উত্‍কট রহের মোজা পরলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
  • হাসিখুশি পুরুষের প্রতি আদৌ কোনও যৌন আকর্ষণ বোধ করে না নারী। বরং গোমড়া মুখের সঙ্গীর প্রতি দৈহিক মিলনের তীব্র কামনা অনুভব করেন মহিলারা। অন্যদিকে, নারীর হাসিমুখ দেখে পুরুষের যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি পায় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সুতরাং কাতুকুতু দিলেও কোনও মতে পুরুষের হাসি চেপে রাখাই বিধেয়।
  • রৌদ্রস্নানে টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধি পায়। এর ফলে স্ত্রী পুরুষ উভয়েরই মনে তীব্র যৌন কামনা জাগে। মিলনের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলতে অতএব রোদ পোহানো অভ্যেস করতে পারেন।
  • পূর্বরাগ পর্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে পুরুষের নাক। নাকের সামনের নরম অংশের স্পর্শে নারীর যৌন চেতনা জেগে ওঠে। তীব্র কামোন্মাদনা তৈরি হয়।
  • ঘর্মাক্ত পুরুষ দেখলে অধিকাংশ মহিলারপ্রবল যৌন ইচ্ছা তৈরি হয় বলে সমীক্ষায় জানা গিয়েছে। আসলে পুরুষের ঘামের সঙ্গে অ্যান্ড্রোস্ট্যাডিএনোন ক্ষরণের ফলে জাগ্রত হয় নারীর যৌন চেতনা।
  • একটি ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে যে পেশিবহুল পুরুষ মাত্রই নারীকে চরম যৌন তৃপ্তি দিতে সক্ষম। কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, যে সমস্ত পুরুষের শরীরের মধ্যপ্রদেশ স্ফীত, তাঁরাই দীর্ঘ সম্ভোগ করতে পারেন। আসলে শরীরে চর্বি থাকার মানে হল স্ত্রী হরমোন এস্ট্র্যাডিওল-এর আধিক্য। এই হরমোনের সাহায্যে চরম রতিসুখের স্তরে পৌঁছতে সাধারণের তুলনায় অন্তত ৫ মিনিট বেশি সময় লাগে ভুঁড়ি সমৃদ্ধ পুরুষের। তাই সিক্স প্যাক্স-এর মোহ ত্যাগ করে মহিলারা স্থূল শয্যাসঙ্গী বাছলেই অধিক যৌন তৃপ্তি লাভ করবেন।
  • যত্ন করে দাড়ি কামানো মুখের চেয়ে গালে খোঁচা খোঁচা দাড়িই নারীকে বেশি আকর্ষণ করে বলে জানা গিয়েছে। এলোমেলো চুল আর অগোছাল দাড়ির পুরুষের সঙ্গে যৌন মিলনে তৃপ্ত হন বেশির ভাগ মহিলা।
  • অন্তরঙ্গতা বাড়াতে চুমুর বিকল্প নেই, জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যে যুগল ঘন ঘন চুম্বনে অভ্যস্ত, দেখা গিয়েছে দীর্ঘায়িত যৌন মিলনের আনন্দ তাঁরাই উপভোগ করেন।
  • মশলাদার খাবার পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে বলে জানা গিয়েছে। পছন্দের পুরুষের থেকে সম্পূর্ণ দৈহিক সুখ লাভ করতে হলে তাঁকে মশলা মিশ্রিত সুস্বাদু পদ পরিবেশন করুন।
  • বেশির ভাগ পুরুষই মেয়েরা লাল রঙের পোশাক পরলে তীব্র যৌন আকর্ষণ বোধ করেন। তাই কামনার সঙ্গীকে যৌন সচেতন করে তুলতে রাঙা সাজে সেজে উঠুন।
  • মাথা ধরার অব্যর্থ দাওয়াই হল রতিসুখ, জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, যৌন তৃপ্তি অনেক সময় আংশিক অথবা পুরোপুরি মাইগ্রেন সারাতে সক্ষম।
  • বিজ্ঞানীদের মতে, বয়স্কা মহিলারা অল্পবয়েসীদের চেয়ে তুলনায় দ্রুত যৌন সুখের চরম সীমায় পৌঁছান। এই কারণে বয়সে বড় নারীর সঙ্গে পুরুষের সঙ্গম বেশি তৃপ্তিদায়ক বলে মনে করেন তাঁরা।
  • জানেন কি, ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও বহু মানুষ রতিক্রিয়াশীল থাকতে পারেন? ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে খাওয়া অথবা হেঁটে-চলে বেড়ানোর অভ্যাসের মতো কেউ কেউ ঘুমন্ত অবস্থায় দিব্যি যৌন মিলনে লিপ্ত হতে পারেন। এই অসুখের নাম 'সেক্সমনিয়া'। মজার কথা, ঘুম ভাঙলে ঘটনাটি একেবারেই ভুলে যান তাঁরা।
তবে যতই টিপস নিন না কেন, কার্যক্ষেত্রে সঠিক দাওয়াইটি মনে করে প্রয়োগ করতে পারলেই অভীষ্ট সিদ্ধি হবে। মনে রাখবেন, যৌন সংক্রান্ত কোনো রোগ থাকলে আগে তার ট্রিটমেন্ট করাই বিধেয়। 
বিস্তারিত

রবিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

নারীদের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে আপেলের ভুমিকা

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাস্থ্যবতী মহিলারা দিনে একটি করে আপেল খেলে তাদের যৌন ক্ষমতা বেড়ে যায়। আপেলে পলিফেনলস ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা জননেন্দ্রিয়র মধ্যে রক্তপ্রবাহকে উত্তেজিত করে তোলে। এই কারণেই মহিলারা যৌনতা বেশি করে উপভোগ করতে পারেন।
বিস্তারিত

মঙ্গলবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৫

নীল ছবিতে বুঁদ দেশ, পর্নোগ্রাফি রাজধানী হওয়ার পথে............. !!

নীল ছবিতে বুঁদ দেশ, পর্নোগ্রাফি রাজধানী হওয়ার পথে........!! ভয় পাবেন না, এটা  আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ নয়। পর্নোগ্রাফি রাজধানী হওয়ার পথে ভারত ।এমনটিই জানিয়েছে "জি নিউজ ইন্ডিয়া"। আমাদের নিজেদের পাওয়া তথ্যাদি থেকে একবার আপনাদের জানিয়েছিলাম বর্তমান বিশ্বে বিবাহ পূর্ব যৌন সমস্যায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ভারতীয়রা। এমনি আরেকটি খবর ছেপেছে স্বয়ং ভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যম "জি নিউজ ইন্ডিয়া" । তথ্য সুত্র লিংক নিচে পাবেন। আগে বিস্তারিত..........
বিস্তারিত

শুক্রবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৫

মাসিক হবার পর, সেক্স করলে কি প্রেগনেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?

মেয়েদের মাসিকের সময়ে শারীরিক মিলন করলে গর্ভধারনের সম্ভাবনা থাকে না, তবে এই সময়ে শারীরিক মিলন থেকে বিরত থাকাই ভালো। বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে জানা যায় মাসিক হওয়ার ৭ দিন আগে ও পরের সময়ে শারীরিক মিলন করলে গর্ভ ধারণের সম্ভাবনা কম থাকে এবং এর মাঝামাঝি সময়গুলোতে গর্ভ ধারণের সমূহ সম্ভাবনা থাকে।
বিস্তারিত

নারীদের বয়স ত্রিশ এর বেশি হলে সন্তান নেয়া ঝুঁকিপূর্ণ কেন?

সন্তান নেয়ার জন্য নারীদের ক্ষেত্রে উপযুক্ত বয়স হলো ২০-৩০ বছর।  ৩০ বছরের পর মায়েদের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পেয়ে অর্ধেক এ নেমে আসে আর ৩৫ বছর পার করলে তা আরো কমে আসে। তবে শুধুমাত্র প্রথম সন্তান নেয়ার ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি হতে পারে। পরবর্তী সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
নারীদের বয়স ত্রিশ এর বেশি হলে সন্তান নেয়া ঝুঁকিপূর্ণ কেন?
সাধারণত গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, গর্ভকালীন উচ্চ-রক্তচাপ ,হরমনগত সমস্যা কিংবা বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। এ কারণে নারীদের ৩০ বছর বয়সের পরে সন্তান নিলে এই ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা থাকে ফলে তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।

নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে সন্তান ধারণের নির্দিষ্ট বয়সসীমা শুধু নারীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয় পুরুষদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ৩০ বছর বয়সের পরে নারীদের জন্য যেমন সন্তান নেয়া ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় ঠিক তেমনি ৪৫ বছর পরে পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পেতে শুরু করে বলে তাদের জন্যও তা ঝুঁকিপূর্ণ।
বিস্তারিত